না-শরীরী কাহন - নিকোলাই গোগোলের ‘ডেড সোলস' এর নাট্যরূপ - ৫

নিকোলাই গোগলের ক্লাসিক উপন্যাস ডেড সোলস অবলম্বনে এই নাট্যরূপের নির্মাণ।

প্রথম অঙ্ক : পঞ্চম দৃশ্য

                                  –--------------------------------------

   ( প্লায়ুশকিনের বাড়ি। চমৎকার অথচ অবহেলিত বাগান। ভেঙে পড়া থাম। উঁচু চত্বর, জঞ্জালে ভরা। সময় সূর্যাস্ত। বোঝা যায় না, এমন গাউন আর দাসীদের টুপি পরা একজন সেই জঞ্জালের মাঝে হেঁটে বেড়াচ্ছে, এমনভাবে যেন সে সব তার সম্পত্তি। তার গাউনের বেল্ট থেকে চাবির থোকা ঝুলছে)

 চিচিকভ : ( চত্বরে ঢুকে) এই যে ভালো মেয়ে, তোমার মনিব…

 প্লায়ুশকিন : বাড়ি নেই। আপনার কী চাই?

 চিচিকভ : ওই একটু ব্যাবসার কাজ ছিল আরকি।

 প্লায়ুশকিন : তা অবশ্য আলাদা।

     ( খানিক নীরবতা)

 চিচিকভ :ভালো।

 প্লায়ুশকিন : কী ভালো?

 চিচিকভ : তোমার মনিব তাহলে কোথায়?

 প্লায়ুশকিন : এখানে।

 চিচিকভ : ( ইতিউতি তাকিয়ে) কিন্তু কোথায়?

 প্লায়ুশকিন : আপনার সমস্যা কী বলুন তো মশাই? চোখে দেখেন না নাকি? হা ভগবান! আমিই মনিব।

 চিচিকভ : ওহো! তাইতো। আমি আপনি বিষয়ে শুনেছি স্যার… মাননীয় সবাকেভিচ বলছিলেন বটে…আপনার… এই তালুক দেখভালের এই যে মিতব্যয়ী দুর্লভ ক্ষমতা, স্যার, এই ব্যাপারটিই আপনাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আমাকে এখানে টেনে আনল স্যার।

 প্লায়ুশকিন : ধন্যবাদ মশাই। এবারে আসন গ্রহণ করুন। এই কিছুক্ষণ আগেও দর্শনার্থীরা এসেছিল। আমাদের রুশদের এই এক নোংরা অভ্যেস, মশাই। আমরা হামেশাই একে অপরকে দেখতে যাই। আর এই কারণেই জমিজিরেত সব নষ্ট হতে থাকে। অনেকক্ষণ ডিনার সেরে ফেলেছি মশাই, আর আমার রান্নাঘরটা যদি দেখেন, এতটাই সরু যে…! চিমনিটাও টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়েছে। আপনি স্টোভটাই জ্বালাতে পারবেন না কেননা তাহলে গোটা জায়গাটা আগুন ধরে যাবে।

 চিচিকভ : ও তাই! সেটা কেমন?

 প্লায়ুশকিন : আরে, এটাই তো গল্পের সবচাইতে করুণ অংশ। এই মুহূর্তে, এখানে কেন, এই গোটা তালুকে আমার এক আঁটি খড়ও নেই। এই এক খণ্ড জায়গায় বাড়তি কিছু থাকবেই বা কী করে, বলুন? এরপর যে কোনও দিন দেখবেন, এই বুড়ো বয়সে রাস্তায় ভিক্ষে করছি।

 চিচিকভ : তা সত্ত্বেও লোকজন আমাকে বলেছে, আপনার অধীনে নাকি এক হাজারের ওপর ভূমিদাস আছে।

 প্লায়ুশকিন : কে?এ সব কে বলেছে মশাই? এক হাজার আত্মা! ঠিকাছে, ঘুরে ঘুরে গুনে দেখুন, কোথায় পান।

 চিচিকভ : এক…দুই…

 প্লায়ুশকিন : গত তিন বছরে বদমাশ এক জ্বর এসে আমার পুরো এক খামারবাড়ি ভূমিদাসকে মেরে দিয়েছে, বুঝলেন?

 চিচিকভ : এক গোলাবাড়ি?!

 প্লায়ুশকিন : আমি এতটাই বুড়ো হয়েছি মশাই এখন আর ও মুখে নতুন করে মিথ্যে বলা মানায় না।

 চিচিকভ : এ ব্যাপারে আমি সমব্যথী, মহামান্য প্লায়ুশকিন। আমার শোক- ব্যথা, আমার পূর্ণ সহানুভূতি রইল, আপনার জন্যে ; আর আপনার মূল্যে সময় নষ্ট না করে আসল কথায় আসি। সম্প্রতি আপনার অধীনের যে সকল চাষি এমন মর্মান্তিকভাবে মারা গেছে তাদের ওপর ধার্য কর, আপনার হয়ে আমিই দিয়ে দেব।

 প্লায়ুশকিন : কী? কী বললেন? আঃ, আপনি… আপনি কি সেনাবাহিনীতে কাজ করেন?

 চিচিকভ : সেনাবাহিনী?

 প্লায়ুশকিন : এই আর্মির লোকেরা মশাই খুব বাজে — ঘোড়ার রেস খেলে আর মদ খেয়ে বাপুতি সম্পত্তি উড়ান- পুড়ান করে। আপনি কি জানেন কাদের ওপর আপনার টাকাকড়ি নষ্ট করেন?

 চিচিকভ : না, জানি না তো!

 প্লায়ুশকিন : অভিনেত্রীদের ওপর। আপনার টাকাকড়ি আপনি নায়িকাদের ওপর নষ্ট করেন। গোটা মুখটা লাল না হওয়া অবধি শ্যাম্পেন গেলেন, তারপর আমার মতো মানুষের কাছে আসেন, হাতে চুমু খেয়ে ‘ কাকা’ ডেকে টাকা ধার করতে, স্রেফ ধার করতে। আপনি মশাই আমার ঠাকুরদা হতে পারেন কিন্তু আমি আপনার কাকা কখনোই হতে পারি না। আর্মিদের সম্পর্কে আমাকে একদম বলবেন না। আমি শুনতে চাই না। না, না, না।

 চিচিকভ : কিন্তু আমি তো স্যার সিভিল সার্ভিসে ছিলাম ; আর আমি এখানে ধার করতে আসিনি। এসেছি, ওই যে বললাম, আপনাকে দিতে।

 প্লায়ুশকিন : কিন্তু,  কিন্তু… সিভিল সার্ভিস? হুঁ… আপনি ঠিক বলছেন, আপনি আর্মিতে নন? আপনি যা বলছেন তা যদি ঠিক হয়, আমি মশাই, আপনাকে ঠিক বুঝতে পারছি না। ( একটা অসম্ভব ভাবনার সঙ্গে লড়তে থাকে) কেন? আপনি তো খোয়াবেন সব?

 চিচিকভ : তাতে আমি খুশিই হব স্যার। আপনার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই এ কথা বলছি। আমি আমার সামনে এক চমৎকার বৃদ্ধকে দেখতে পাচ্ছি যে তার ভালোমানুষীর খেসারত হিসেবে অনেক কষ্ট পেয়েছে।

 প্লায়ুশকিন : হে সুজন, হ্যাঁ, আপনি ঠিকই ধরেছেন। একদম ঠিক। সব আমার এই ভালোমানুষীর জন্য… আপনি কী ভালো মশাই… আপনি… আপনি আমার মঙ্গলদায়ক। হে ঈশ্বর! হে পবিত্র সন্ন্যাসীগণ! ( থামে, মুখের ভাব পুরো বদলে যায়। এখন তা নিরাপদ, সন্দিগ্ধ) কিন্তু আমি কি এটা জানতে পারি, কীভাবে আপনি এটা করতে চাইছেন? আপনি কি প্রতি বছরই এদের ট্যাক্সটা দিয়ে দেবেন?

 চিচিকভ : আচ্ছা শুনুন। আমার ব্যবস্থাপত্র শুনুন। আসুন, এমনভাবে এর একটা ক্রয়- দলিল করি যেন এরা সবাই বেঁচে আছে আর আপনি সরলভাবে আমাকে ওদের বিক্রি করছেন।

 প্লায়ুশকিন : হ্যাঁ, হ্যাঁ। একটা ক্রয়- দলিল। একটা ক্রয়- দলিল। এতে খরচও তেমন একটা হবে না।

 চিচিকভ : আপনার সম্মানার্থে সে খরচের ভার আমিই কাঁধে নিতে তৈরি।

 প্লায়ুশকিন : দারুণ মানুষ মশাই আপনি। দয়ালু। ঈশ্বরের সকল আশীর্বাদ আপনার ওপর বর্ষিত হোক, আপনার সন্তানদের ওপর বর্ষিত হোক। হ্যাঁ, আপনার প্রিয় ছোটো ছোটো সন্তানেরা…প্রশকা, প্রশকা…

 ( প্রশকা প্রবেশ করে। তেরো বছরের বাড়ির চাকর। পায়ে বেঢপ জুতো)

দেখুন স্যার, কেমন নিরেট গাধা একটা, কিন্তু একটা কিছু রাখুন, নিমেষের মধ্যে উধাও করে দেবে। ( প্রশকাকে) এই উজবুক, এখানে কেন? বুদ্ধু কোথাকার! এখানে খাড়িয়ে কেন?এই চায়ের কেতলিটা নিয়ে যা, শুনতে পাচ্ছিস? আর এই চাবিটাও। মাভরাকে দেখ, কোথায় আছে। ওকে এটা দেগা। ওকে গিয়ে বল, ভাঁড়ারে এক টুকরো ইস্টারের কেক আছে, আলেকসান্দ্রা স্তেপানভনা এনেছিল, বছরতিনেক আগে। ওকে বল, আমরা চায়ের সঙ্গে সেটা এখন খাব। থাম। কোথায় যাচ্ছিস? মন দিয়ে শোন। মনে হয় ওই কেকের টুকরোর ওপর একপ্রস্থ ছাতা পড়ে গেছে। ওকে বল, একটা ছুরি দিয়ে সাবধানে তা চেঁছে ফেলতে। কিন্তু ওগুলো নষ্ট করে না যেন, মুরগিছানাদের দেয় যেন খেয়ে নেবে। ( আবার চিচিকভের ব্যাপারে সন্দিগ্ধ হয়) তাহলে আপনি মশাই ঠিকই বলেছেন। এখনই দলিলটা বানিয়ে ফেলা উচিত। আপনি তো জানেনই কীভাবে কী করতে হবে। মানুষের কথা - আজ বেঁচে আছি, কাল কী হবে, কে জানে!

 চিচিকভ : এখনই! এই মুহূর্তে? অবশ্য, ফাইনাল কাগজপত্রে সইসাবুদ করতে আপনাকে শহরে যেতেই হবে।

 প্লায়ুশকিন : শহরে? কী করে? এই বাড়িঘর ফেলে?আমার ভূমিদাসরা সব এক একটা চোর, ঠগ, মশাই। একদিনে বাড়ির মালপত্র সব এমনভাবে হাপিস করে দেবে যে দেয়ালে কোট ঝোলানোর একটা হুকও পাওয়া যাবে না, বুঝলেন?

 চিচিকভ : শহরে এমন কেউ নেই যাকে আপনি চেনেন? কোনও বন্ধু, কোনও পরিচিতজন যাকে দলিলের ভার দিয়ে আপনি নিশ্চিন্ত হতে পারেন?

 প্লায়ুশকিন : পরিচিত? কেমন পরিচিত? হয় তারা সব মরেধরে গেছে নয়তো… আঃ, থামুন। হায়রে! এটাই বা কী করে হয়, তেমন জানাশোনা একজনও নেই! হ্যাঁ, অন্তত একজন আছে। বিচারালয় সমূহের প্রেসিডেন্ট। আগে আমার এখানে খুব আসা-যাওয়া করত। ওঁকে আপনি চেনেন? আমি অবশ্য তাঁকে বিলক্ষণ জানি। ছোটোবেলায় বেড়ায় উঠে ঘুরে বেড়াতাম, খেলা করতাম…এক্কেবারে বন্ধুর মতো। আপনার কি মনে হয় ওঁকে আমি এক কলম লিখে দিই? ( এই বলে থামে। তার মুখের ওপর দিয়ে একটা গরম রশ্মি খেলে যায়)

 চিচিকভ ::কেন নয়? অবশ্যই লিখুন।

 প্লায়ুশকিন : ( আবার সন্দিহান) এখানে যে এক তা শাদা কাগজ ছিল! বুঝি না, সব যায় কোথায়!... লোকগুলো সব নিষ্কর্মার ঢেঁকি। শয়তান সব… মাভরা…মাভরা…

   ( ছিন্নবস্ত্রে মাভরা ঢোকে। একটা প্লেটে ইস্টার কেকের টুকরো)

 প্লায়ুশকিন : চোর কোথাকার। এখানে যে কাগজ ছিল, কোথার ফেললে?

 মাভরা: সত্যি বলছি। মাইরি বলছি। আমি দেখিইনি। শুধু ওইটা ছাড়া যা দিয়ে তুমি ওই ব্র‍্যান্ডির গ্লাসটা ঢেকে রেখেছিলে।

 প্লায়ুশকিন : তোমার চোখের দিব্যি। তুমিই চুরি করেছ।

 মাভরা: কিন্তু তাতে আমার লাভ কী বলোতো? কাগজে আমার কী কাজ? আমি তো লিখতেই জানি না।

 প্লায়ুশকিন : তুমি মিথ্যে বলছ। তুমি গির্জার ওই অফিসারের কাছে সেটা নিয়ে গেছ। সে কিছু লিখে দেবে বলে, ওকেই দিয়েছ।

 মাভরা : গির্জার অফিসার? ওর নিজের কাছেই তো কাগজ আছে। ও তোমার কাগজ কক্ষনো দেখেনি।

 প্লায়ুশকিন : অপেক্ষা করো, দেখো ; ভয়ানক বিচারের দিনে শয়তানেরা তোমাকে ভেজে রোস্ট করে খাবে, ওদের ওই আগুনের কড়াইতে ফেলে, বুঝলে?

 মাভরা: আমি যদি তোমার কাগজ না-ই নিয়ে থাকি তবে তারা আমায় রোস্ট করে খাবে কেন? কিন্তু দেখো, ওই যে ওইখানে পড়ে আছে, তোমার কাগজ তা। শুধুশুধু আমাকে দুষছ, অযথা। সব সময় এমনটা করো তুমি।

 প্লায়ুশকিন :ওহো, কী বদরাগি মেয়ে গো! বাব্বাঃ! ( লিখতে লিখতে মাভরাকে বলে) যাও একটু সিল করার গালা আর আগুন নিয়ে এস। না থামো, তুমি আবার এখনই পশুচর্বির মোমবাতি এনে বসবে। ওটায় সমস্যা হল, গলে- পুড়ে একদম শেষ হয়ে যায়। এতে পুরোটাই ক্ষতি… তারচে বরং একটা কাঠের টুকরো নিয়ে এস ( চিচিকভের প্রতি) আচ্ছা, আপনার এমন কোনও বন্ধু আছে যে পলাতক চাষিদের কিনবে?

 চিচিকভ : কতজন হবে?

 প্লায়ুশকিন : তা প্রায় ষাটজন হবে। প্রতি বছরই তা বাড়ছে।

 চিচিকভ : না,এমন কেনায় আগ্রহী হবার মতো চেনাজানা কেউ নেই। কিন্তু আপনার যদি এতই টানাটানি থাকে তবে আমিই না হয়… পলাতক আত্মার জন্য জনপ্রতি পঁচিশ কোপেক থাকল।

 প্লায়ুশকিন : তাহলে তো ভালোই হয় মশাই। সেটা আপনি যা ভালো বোঝেন ; তবে আর দু- তিন কোপেক করে যদি বাড়িয়ে দেন তো…

 চিচিকভ : অবশ্যই। আপনি খুশি হলে আরও পাঁচ কোপেক করে বাড়াতে পারি। এখন বলুন তো, পলাতক আত্মা ঠিক ষাটজন না তার কমবেশি?

 প্লায়ুশকিন : আটাত্তর।

 চিচিকভ : আটাত্তর! জনপ্রতি তিরিশ কোপেক ধরলে ( এক সেকেন্ড থামে) হয় তেইশ রুবল।

 প্লায়ুশকিন ::আর চল্লিশ কোপেক।

 চিচিকভ : চল্লিশ কোপেক। দয়া করে একটি রসিদ করে দিন।

     ( চিচিকভ সামান্য নড়ে ওঠে। চলে যাচ্ছে ভেবে প্লায়ুশকিন ওর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে)

 প্লায়ুশকিন : এখনই চললেন কোথায়?

 চিচিকভ : কী? ওহো, যেতে হবে, সময় হয়েছে।

 প্লায়ুশকিন : এট্টু চা হবে না?

 চিচিকভ : না, ধন্যবাদ।

 প্লায়ুশকিন : প্রশকা, চায়ের কেতলিটা নিয়ে যা। আর কেকটাও। না, কেকটা আমিই সরিয়ে রাখছি। ( রসিদ লেখা হয়। প্লায়ুশকিন দামটা নিয়ে হাউসকোটের পকেটে পুরে রাখে) দাঁড়ান, আমার সুন্দর একটি মদ খাওয়ার পাত্র আছে… এখানে, লুকিয়ে রেখেছি, যা চোরের দল সব!( একটা ড্রয়ার তন্নতন্ন খুঁজে ঝুল- ধুলো লাগা একটা পাত্র বের করে। বলে) এই যে আমার আগের স্ত্রী এটি বানিয়ে দিয়েছিল কিন্তু ঘরদোর দেখভালের একজন এমন এক জঘন্য অপরাধ করল, পাত্রটি ছিপি না লাগিয়েই এখানে ফেলে রাখল। নোংরা মেয়েছেলে! এরমধ্যে যতোসব মশা-মাছি ঢুকে বাসা বাঁধল। আমি ফের একটু একটু করে সব পরিষ্কার করেছি। এখন দেখুন, কেমন ঝকঝক করছে! এক চুমুক দেব নাকি?

 চিচিকভ : না, না। আমি পান করেছি, খেয়েছি। এখন যেতে হবে।

 প্লায়ুশকিন ::কী? আপনি খাবার খেয়েছেন, পান করেছেন?এরমধ্যেই?কিন্তু অবশ্যই মান্যজনেদের আপনি যথার্থ চিনতে পারেন। না খেয়েই আপনি পূর্ণ। বিদায় মশাই, বিদায়। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন। ( চিচিকভকে বিদায় দিয়ে সে এখন একা) আমি ওকে আমার পকেট - ঘড়িটি উপহার দেব। হ্যাঁ, এটি ভালো রুপোর ঘড়ি, নকল ব্রোঞ্জের নয়। যদিও এটা এখন চলছে না, তবে সেরে -সুরে  নিলে ঠিক চলবে। সে এখনও যুবক। ওর একটি পকেট - ঘড়ি দরকার যাতে করে ওর ভবিষ্যৎ কনের কাছে আরও বেশি আকর্ষক হয়ে উঠতে পারে। ( কিছুক্ষণ চিন্তা করে) অথবা, না, বরং আমি মরার পর ওকে এটা দিলেই হবে। আমার ইচ্ছাপত্রে তা লেখা থাকবে। তাহলে সে আমাকে মনে রাখবে…চির…